শিবলী সাদিক খানঃ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার যুব মহিলালীগ নেত্রী রানী ইসলাম ওরফে রানী মালা উরফে মনু। রাজনীতির আড়ালে দেহ ব্যবসা ব্ল্যাকমেইল করার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। রয়েছে একাধিক প্রেমিক পুরুষ। তিনি সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে যে মামলাটি করেছেন সেই ঘটনার ভিডিও ধারন করে ভূক্তভূগি শারফুল এর নিকট থেকে আড়াই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনায় এদের নারী সিন্ডিকেট এর ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বিধাদন্দ হলে এদের সৃষ্ট ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ঈগ্বরগঞ্জ মুক্তাগাছা উপজেলার যুব মহিলা লীগের নারী নেত্রীদের কেলেঙ্কারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেও মুক্তাগাছার নেত্রীকে অব্যাহতি দেওয়া হয় কিন্তু ঈগ্বরগঞ্জ উপজেলার রানী বহাল তবিয়তে আছে বলে জানা গেছে। এদের কৃতকর্মে জনমনে ব্যাপক নিন্দা ঘৃণা মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কে এই রানী এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় লোকজন ও সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী জানায় তার দৃশ্যমান কোন কর্ম নাই। পরিবারের কেউ তার সাথে থাকেনা। ভালুকা কিছুদিন থাকার পর, একাই থাকেন ময়মনসিংহ শহরে। দফায় দফায় দুবাই ফেরত এই রানী মালা ওরফে রানী ইসলাম। চরম মাদকাসক্ত ও দেহ ব্যবসায়ী বলে বিভিন্ন ভাড়াটিয়া বাসা থেকে বিতারিত হয়েছে। এ সকল ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় জনতার হাতে ধরা খাওয়ার পর রাজনীতিতেও তিনি নেতার পরিবর্তন করেন। স্বপ্না খন্দকারকে বাদ দিয়ে তিনি ধরেন পাপড়ির হাত। দলীয় কোন সমর্থন না থাকায় তিনি একাই বডি নেতায় পরিনত হয়েছেন। অর্থাৎ নেতাও সে, কর্মীও সে। জীবন জীবিকার তাগিদে, খেয়ে পড়ে বেচে থাকার আশায় সে ময়মনসিংহ শহর বেছে নেয়। ভাড়াটিয়া বাসায় শুরু হয় তার ব্যবসা বানিজ্য। জনতার হাতে ধরা খায় বার বার। করেন বাসা বদল। শুরু হয় কেলেংকারী। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ভিডিও ভাইরাল হয়। দোষ চাপে স্বপ্না খন্দকারের উপর। এজন্য রানী মালা মামলাও করেন। এতে সাংবাদিকসহ ৬ জনকে আসামী করা হয়। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগজ্ঞে মনু নামে পরিচিত ময়মনসিংহের রানী মালা ও যুব মহিলালীগ নেত্রী। দু’দফায় দুবাই যান তিনি। ফেরত আসেন। তিনি প্রথমে ভালুকায় বাসা ভাড়া নেন। তখন তিনি শারফুলের ভাড়াটিয়া ছিলেন। নানাবিদ কেলেংকারীতে সেখান থেকে সে বিতারিত হয়। এর পর আসেন ময়মনসিংহে। চরপাড়ার কপিক্ষেত এলাকায় সে কিছুদিন ভাড়ায় থেকেছেন। এখান থেকে তাকে বিতারিত করা হয়। পরে রানী মালা উরফে মনু উঠেন দিগারকান্দায় স্বপ্না খন্দকারের বাসায়। সেখানে বিভিন্ন সময়ে পর পুরুষ নিয়ে অসামাজিক কাজ করায় স্থানীয় জনৈক ব্যক্তি ভিডিও ধারন করেন। যার সাথে অসামজিক কাজের ভিডিও ধারন করা হয় তার নাম শারফুল। রানী মালা ভালুকায় থাকা সময়ে তিনি শারফুলের বাসায় থাকতেন। সেই ভিডিও, যা বাড়ির মালিককে দেখানো হলে তিনি তাকে বাসা থেকে বের করে দেন। শুরু হয় রাজনীতি। দীর্ঘ সময় পর হটাৎ ভিডিওটি ছড়িয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। রানীমালা সাইবার ট্রাইবুলে ৬ জনকে আসামী করে মামলা ঠুকে দেন। এর পরই নিজের দোষ ঢাকতে রানী মালা সাংবাদিক সম্মেলন করেন। অভিযোগের তীর ছুড়েন স্বপ্না খন্দকারের উপর। প্রচার আছে, ময়মনসিংহ শহরে বিভিন্ন এলাকা থেকে মেয়েরা একা এসে বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা করে যাচ্ছে। সে সকল মেয়েরা স্থানীয় মাস্তানদের হাতে নিয়ে খদ্দের এনে নিজেদের নগ্ন ভিডিও ধারন করে অর্থ হাতিয়ে নিতেন । শারফুলের কাছ থেকেও আড়াই লাখ টাকা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রায়শই এসকল ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হলেও তেমন কেউ প্রতিবাদ করেনি। রানী মালা এর প্রতিবাদ করে মামলা পর্যন্ত করেছেন। রানী মালা উরফে মনু বলেছেন, তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। এঘটনা ছাড়াও রানী মালার একটি ভিডিও কলও ভাইরাল হয়েছে। যা মামলায় অন্তভুক্ত হয়নি। এছাড়াও যার সাথে ভিডিও চিত্র প্রকাশ পেয়েছে তাকে মামলায় আসামী করা হয়নি। স্বপ্না খন্দকার জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমি বাসায় যাই ও ভিডিও দেখে রানী মালাকে বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেই। এর পর কি হয়েছে আমার জানা নেই। এ ঘটনায় আমার নামে মামলা হয়েছে। আমি এতে জড়িত নই।
প্রধান সম্পাদক : মশিউর রহমান সোহান, সম্পাদক : বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, নির্বাহী সম্পাদক : শাহে ইমরান