রামগঞ্জ (লক্ষীপুর) প্রতিনিধিঃ লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জুয়েল রানার সাথে অবৈধ সম্পর্কের ঘটনা আলোচিত সেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নাছরিন আরা এবার প্রবাসী স্বামীর বসঘরে ১১লক্ষাধিক টাকার মালামাল ও নগদ প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক সমাজের সমালোচনার ঝড় উঠেছে। প্রতারক স্ত্রীর বিচার ছেড়ে প্রবাসী স্বামী মোহাম্মদ আলী পাটোয়ারী শিক্ষক সমিতির নেতা, শিক্ষা অফিসারদের ধারস্থ হওয়ার পাশাপাশি তার ভাই ইউসুফ আলী পাটোয়ারীকে দিয়ে থানা অভিযোগ দায়ের করেছে।
বিভিন্ন সুত্রে জানায়,রামগঞ্জ উপজেলা কাওয়ালীডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নাছরিন আরা পিআইও অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জুয়েল রানার সাথে পরকিয়া জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন ইউএনও উম্মে হাবীবা মীরার নেতৃত্বে উপজেলা চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান ,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতাসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একাধিক বৈঠকে বসে জুয়েল পালিয়ে যাওয়ায় সমাধান করতে পারেনি। প্রবাসী স্বামী ২সন্তানের ভবিষৎ ছিন্তা করে তাৎক্ষনিক স্ত্রী নাছরিন আরাকে নিজ এলাকায় বদলি করে নেয়। প্রবাসী স্বামী মোহাম্মদ আলী পাটোয়ারী স্ত্রীকে বিশ^াস করে ইসলামী ব্যাংক,সোনালী ব্যাংক হিসেবে এবং গোপনীয় নাম্বার ৫৫ লক্ষ টাকা পাঠায়। উক্ত টাকা পেয়ে প্রতারক স্ত্রী নাছরিন আরা স্বামীর বসতঘর থেকে ১১লক্ষাধিক টাকার মালামাল ও ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষিকা নাছরিন আরা সাংবাদিকদের বলেন,দীর্ঘ সময়ে প্রবাসে থাকায় আমার স্বামী পরিবারে খরচের জন্য আমার কাছে টাকা পাঠিয়েছে। আমি ওই টাকা পরিবারে খরচ করেছি। আমার চাকুরীর টাকা দিয়ে সংসারে আসবাবপত্র ক্রয় করেছি। স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় আমি আমার আসবাবপত্র নিয়ে সবার অগোচরে বাসা নিয়েছি।
প্রধান সম্পাদক : মশিউর রহমান সোহান, সম্পাদক : বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, নির্বাহী সম্পাদক : শাহে ইমরান