সাকিব খান
বিশেষ প্রতিনিধি
আইন বলছে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা অনুসারে কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক কোনি সরকারি কাজ বৈধ পারিশ্রমিক ছাড়া অন্যকোন রকম বখশিস নিয়ে করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বখশিস গ্রহণ বা গ্রহণে সম্মত বা গ্রহণের চেষ্টা করলে সেই কর্মকর্তা-কর্মচারী যে কোনো বর্ণনার কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
সিরাজদিখানে ইউপি সদস্যদের সম্মানি ভাতা প্রদানে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ শিরোনামে জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় ওঠে আসে অনিয়মের চিত্র। এর সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নামে দৈনিক দেশ কালান্তর। অনুসন্ধানি দলের কাছে চলে আসে বশির লস্করের নানা অনিয়মের তথ্য। জন্মনিবন্ধন করতে ঘুষ বানিজ্য,পরকীয়াসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ।
সিরাজদিখান উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা বশির লস্কর । প্রায় ১৪ বছরে গড়ে তোলেছে ঘুষের সম্রাজ্য।
সিরাজদিখান উপজেলায় থেকে সিএ পদ থেকে পদ উন্নতি পেয়ে হয়ে ওঠে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। পদ উন্নতির পর চলে গেলেও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় থেকে ১মাস পর ফিরে আসে সিরাজদিখান উপজেলায়।
চলে আসার অদৃশ্য কারণ জানা নেই কারো । এ বিষয়ে কথা বলতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে,১৪ বছর সিরাজদিখান কিভাবে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বশির লষ্কর বলে আমার ট্রান্সফার হয়ে গেছিল ট্রান্সফার হওয়ার পর আবার আসছি। কত দিন ছিলেন ১মাস নাকি ২ মাস এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি কাজ করছি তুমি আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে কল দাও।
প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়ে ওঠার পর আইনের কোন তোয়াক্কা করে না এই কর্মকর্তা। সিরাজদিখানে কায়েম করেছে ঘুষের রাজত্ব । বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস ৭এর (ক)বলছে সরকারি ও বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/দপ্তর/পরিদপ্তর এবং অন্যান্য বদলীযোগ্য কর্মকর্তা যাহারা একই স্থানে/একই পদে তিন বৎসরের অধিককাল যাবত কর্মরত আছেন, তাহাদের অবিলম্বে বদলী করিতে হইবে।
৭এর (খ) বলছে উল্লিখিত মন্ত্রিপরিষদ সিদ্ধান্তের কোন ব্যতিক্রম ঘটিলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে সরকারি আইন ও সরকারি বিধি অনুসারে চাকুরীচ্যুতি সহ যে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ধরনের কাজ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রশাসকের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে (এডিএম ) শিলু রায় বলে স্যার বর্হি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট এ আছে আমি চার্জে আছি। আমি এটা জানিনা ডিসি স্যার আসলে জানাবো ইউনোর সাথে কথা বলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিব। ১৪ বছরে সকলের সাথে স্থানীয় জনগণ মনে করছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেই তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না এমন প্রশ্নের জবাবে এডিএম বলে এখন জানলাম তো একটু উপজেলায় কথা বলি, আর এটা পরেও আপনারা ডিসি স্যারের সাথে কথা বলতে পারবেন। অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রধান সম্পাদক : মশিউর রহমান সোহান, সম্পাদক : বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, নির্বাহী সম্পাদক : শাহে ইমরান