শিবলী সাদিক খানঃ ময়মনসিংহের পতিতা পল্লীর যৌনকর্মীদের নিয়ে একটি সংগঠনের স্বঘোষিত সভাপতি পতিতা সর্দারনী লাভলী বেগম (৪৮) একাধিক ভারুয়া স্বামী পরিবর্তনকারী সুবিধা ভোগী গত ২৩ বছরে এ নারী অবৈধ মদ ক্রয়বিক্রয়, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরী নারী বেচাকেনা করে যৌনকর্মীর কাজে লাগিয়ে নেত্রকোনা, ময়মনসিংহে একাধিক বাড়ি, একাধিক গাড়ি, বাস, মাইক্রোবাস এর মালিক বনে গেছেন। অভিযোগকারী আখি আক্তার মঙ্গলবার রাতে ট্রাংক পট্রি রোডে পুলিশ ফাড়ীর নিকটে এসে জানান পতিতা পল্লীতে যৌনকর্মীদের কেনাবেচার অর্থ লগ্নিকারী লাভলী নিজেও জানে না সে কত টাকার মালিক বনে গেছে এমন বড়াই করে জানান দেয়, অর্ধকোটি টাকা পতিতা পল্লীতেই সুদে খাটাচ্ছেন এবং পতিতা পল্লীতে প্রতিমাসে ৫ লক্ষ টাকা নগদ আয় করছেন পতিতা লাভলী! গাড়ি বাড়ী বিত্তবৈভব হওয়ার কারণে অনেক উচুঁ শ্রেণীর লোকজনের যাতায়াত রয়েছে তার গোপন অট্টালিকায়, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরী নারী রয়েছে অসংখ্য, যাদেরকে দিয়ে মনোরঞ্জনের কাজটি করেন। পতিতা সর্দারনী লাভলীর অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেক পতিতা যৌনকর্মী এ পল্লী থেকে বিতারিত হয়েছেন। আখি আক্তারের দীর্ঘ ১২ বছরে জমানো ১২ লক্ষ টাকা আত্মসাত করার জন্য দুটি সাদা ষ্ট্যম্পে স্বাক্ষর নিয়ে মারপিট করে পতিতা পল্লী থেকে বের করে দেয়। আখি থানা পুলিশে অভিযোগ করেছে। কিন্তু পতিতা লাভলীর দম্ভোক্তি "থানা পুলিশ, গুন্ডা, মাস্তান তার কেনা গোলাম", কেউ কিচ্ছু করতে পারবে না", বরং "সে চাইলে মামলা হামলা গায়েব করে দিতে পারে", এমন কথা শুনে কে না ভয় পায়? পতিতা লাভলীর তত্বাবধানে অবৈধ মদ বিক্রি, চড়া মূল্যে সুদের ব্যবসা, অপ্রাপ্তবয়স্ক এক-ডজন কিশোরী দিয়ে দেহ ব্যবসা, রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাওয়া এ সকল বিষয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলেই পতিতাবৃত্তি পেশার ঐ নারী এমন দম্ভোক্তি! আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সচেতন নগরবাসী।
প্রধান সম্পাদক : মশিউর রহমান সোহান, সম্পাদক : বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, নির্বাহী সম্পাদক : শাহে ইমরান