লেখক: আসমিরা খানম ::
প্রকৃতির কাছে হেরে যাওয়া এক প্রথিক যার চাইতে নেই শীতে গরম আর গরমে ঠান্ডা শীতল হাওয়া। দূর্দান্ত শীতে দাঁতে দাঁত ঠকঠক করে বাড়ি লাগার পরেও তোমার মায়া হয়না, বিবস্ত্র মানুষ কে আর কাঁপাবো না। বলবে নাতো যারা বাঁচতে চায় তাদের বাঁচতে দাও উষ্ণতা দাও যেন প্রকৃতির খেয়াল খুশিতে হারিয়ে না যায়। প্রানীকূল ঠান্ডায় জড়সড়। কুকুর বিড়াল গুলো খুঁজতে থাকে উত্তাপ কিন্ত খুঁজে কি পায়? বিলাতের কুকুর বিড়ালের কথা নাহি বা বললাম যদি জেনে যায় তারা নরম গদিতে কিভাবে ঘুমায় আর তাদের কি খাবার বরাদ্দ থাকে? নাহ থাক তাহলে এমবেসীতে দাঁড়িয়ে পড়লে ভয়ংকর ব্যাপার ঘটে যাবে আর জেনে যাবে যে ওরা বন্য প্রানীর মত করে থাকে। আবার থেকে থেকে এদের গুলি করে মারে এই কথাটা বলতে পারলে ভিসা পেয়ে যেত। যাক বাবা ওরা কথা বলতে পারেনা। বিলাতের কুকুরের সাজগোজ দেখলে এরা চিনতে পারবেনা ওদের জাত ভাই। প্রকৃতির খেয়াল খুশীমত উল্টা পাল্টা হয়ে যাচ্ছে। নদীর পাড়ের মানুষের নির্ঘুম রাত কাটে কখন না জানি ঘুমের ঘোরেই তলিয়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ঝড়ের কথায় নাইবা বললাম পূর্বাভাস কি সঠিক পাবেন নাতো যে দেবে ঐ সময় তার ভীষণ ঘুম পেয়েছিল তাই বুঝতে পারিনি কি হয়ে গেল! এত নম্বর বিপদ সংকেত বলে রাখলে হয়তো ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকতো তাহলে আমাদের তো কোন ক্ষতি হতোনা। হঠাত করেই বন্যা আগের দিনেও কেউ জানেনা কোন বৃষ্টি বাদল কিছু নেই কেন পানিতে ডুবে গেল খাল বিল পুকুর। পুকুরের মাছ চলে গেল অন্য পুকুরে কি সর্বনাশ! কাচা বাড়িঘর ধুমধাম করে পড়ে যাচ্ছে।এই ক্ষতি কে পুষিয়ে দেবে? ইচ্ছে করেই ডুবিয়ে দিল? তারা একলা ডুববে কেন তাই ছেড়ে দিয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচা এই আর কি। এটাকে সামাল দিতে কতকাল ঠিক মত না খেয়ে থাকা। বিবাহ যোগ্য মেয়ের বিয়ের দাওয়াত কার্ড ছাপানো হয়ে গেছে। ছেলের ইউনিভার্সিটির ইন্টারভিউ বাতিল, পাঁচ বিঘা জমিতে ধান ছিল সে জায়গাতে শুধু পানি আর পানি সব ইচ্ছা করেই বিলীন করে দেওয়া। এক একটা পরিবার ধ্বংস মানে দেশ ধ্বংস। আবার কৃষক মাজা খাড়া করে যেই দাঁড়াবে আবার আসবো ভয়ংকর রূপ নিয়ে। শ্রম শক্তির উপর ভরসা। গ্রামের হাবলুটা এবার দুবাই যাবে বাপের দু'চোঁখে স্বপ্ন উপচিয়ে পড়ছে হ্যাঁ এবারে হাবলু কে পাঠিয়ে বাড়ীঘর করে ফেলবো সবাই তো এভাবেই করছে। ভিসা পাসপোর্ট হয়ে গেল হুম যথারীতি হাবলু সৌদী যাবে পঞ্চম শ্রেণি পড়া হাবলু প্লেনে উঠেছে দুচোখ ভরা স্বপ্ন। সৌদীর মরুভূমিতে ছাগল চরানো কাজ। দুদিন চরাতেই হাবলূ অসুস্থ হয়ে পড়লো কে দেখবে হাবলু কে? মালিক বলল আগামীকাল থেকে তোমার কোন কাজ নেই। তারপর হাবলু দেশী ভাইদের কাছে ধর্না দিচ্ছে। ঠিক আছে হাবলু আমাদের একটা রান্নার লোক দরকার তুই করতে পারবি? সবাই জানে দেশের ছেলেরা রান্না ভাত পেয়েছে রান্না কখনো করিনি। বিধি বাম হাবলু রান্না আরম্ভ করলো প্রথম দিন ফ্যান ঝরাতে গিয়ে সব ফ্যান পায়ের উপর কি মুস্কিল!! কত মা বাবা বলে কাঁদলো কেউ নেই হাবলুর কাছে। এভাবেই হাবলু রেমিটেন্স পাঠিয়েছিল এভাবেই বাপ মায়ের মুখে হাসি ফুটিয়েছিল।।
প্রধান সম্পাদক : মশিউর রহমান সোহান, সম্পাদক : বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, নির্বাহী সম্পাদক : শাহে ইমরান