ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. আন্তর্জাতিক
  2. ইসলাম
  3. খেলাধুলা
  4. গণমাধ্যম
  5. জাতীয়
  6. রাজনীতি
  7. লক্ষ্মীপুর
  8. শিক্ষাঙ্গন
  9. সম্পাদকীয়
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নেত্রকোণায় চলছে খাল বিল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বাণিজ্য , কাঠের চশমা পড়ে আছে প্রশাসন

ডেস্ক এডিটর
ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪ ১:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ

নেত্রকোণা জেলার সদর উপজেলার ১১ নং কালিয়ারা গাবরাগাতি ইউনিয়নের চ্ছ এলাকার রাজাপুর ব্রিজ সংলগ্ন ধনারখাল ও কমরপুর ডাকাতখালী বিলের বিভিন্ন জায়গা থেকে লাল বালু তুলে রমরমা ব্যবসা করছে কিছু বালুখেকো। স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার জানানোর পরেও এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় , কালিয়ারা গাবরাগাতী ইউনিয়নের বুনায়াপাড়া পূর্ব পাশে ডাকাতখালি নামক স্থানে বন্যায় ভেসে আসা লাল বালু ধনার খালের শেষ অংশে বিভিন্ন জায়গায় জমা হয়।এর
এক তৃতীয়াংশ সদর উপজেলা আর বাকি অংশ বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন কমরপুরে ও আছে। যখন পানি ছিল ছোট ছোট নৌকা দিয়ে বালু উত্তোলন করতো আর এখন শুকনো সময় কোদাল দিয়ে তুলে প্রতিদিন৪০/ ৫০ টি লড়ি বালু নিয়ে আনাগোনা করে। এতে করে উপজেলার বেড়িবাঁধ রাস্তা হাটার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে অতিরিক্ত লড়ি চলাচলের কারণে শব্দ দূষণ ও বায়ু দূষণ হচ্ছে ।এতে করে শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত বিরক্তিকর অবস্থা তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে ইতোমধ্যে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে গণমাধ্যম জানায়। তারপরও ৬ মাসে ও তাদের কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এই সুযোগে কিছু বালুখেকো অবাধে বালু তোলে রমরমা বাণিজ্য করছে । কিছুদিন পুর্বে এ এলাকায় গণমাধ্যম কর্মী ছবি তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে। এর সাথে জড়িত রয়েছে কালিয়ারা গাবরাগাতী ইউনিয়নের যুবদলের সদস্য সচিব সাকিবুল হাসান মমিন, এর নেতৃত্বে এসব কর্মকাণ্ড হচ্ছে। সে দল কে ব্যবহার করে এমন অনৈতিক কাজ করছে।

এর সাথে জড়িতরা বালু বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে যেমন বড়ওয়ারি এনে রাখে মেদনীর আফজাল হোসেন টিটু মৌল্লা নামক ব্যাক্তির নিজ ও সরকারি জায়গা হতে প্রতিদিন ১০০ লড়ি বালু নিয়ে থাকে ।অন্যদিকে বারহাট্টা এরিয়ায় বাবুল ,ডালিম তাদের জমি হতে ফকিরা বাজারের রফিক তালুকদার,শাহীনসহ আরো অনেকেই এর সাথে জড়িত বালু তোলা রমরমা বাণিজ্য করছে।

১১ কালিয়ারা গাবরাগাতী ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এনামুল হক পলাশ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমি জানি। কিছুদিন আগে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু জব্দ করা হয়েছে। এদেরকে বার বার সতর্ক করে ও ফল হচ্ছে না। তবু চেস্টা চলছে।

এদিকে নেত্রকোণা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, কালিয়ার গাবরাগাতি ইউনিয়নে কিছুদিন আগে সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি)অভিযান করেছিলেন । তার পরেও তিনি গণমাধ্যমকে যেখান থেকে বালু তুলে সেখানের ঠিকানা দিতে বলেন।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।