পুলিশ জনণের শাসক নয়”পুলিশ জনগনের বন্ধু ও সেবক। অনেকেই ধারনা ছিলো এই বানী শুধুই স্বপ্ন। কিন্তু দায়িত্বশীল,ন্যায়পরায়ন ও মানবিক কিছু পুলিশের কার্যক্রমের বাস্তবতা ও সত্যতা মানুষ খুঁজে পেয়েছে সাধারন মানুষ। তেমনি একজন চৌকস পুলিশ অফিসার লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার জনবান্ধব পুলিশি অফিসার মো: এমদাদুল হক এমদাদ। লক্ষীপুর জেলার বশিকপুর জোড়া খুনের দিকে যখন দেশবাসীর দৃষ্টি ঠিক সেই সময়ে রামগঞ্জে উদ্ধার হওয়ায় অর্ধগলিত মা-শিশুর লাশের পরিচয় চিহিৃত করে ঘাতক জালালকে গ্রেফতার করার মাধ্যমে ওসি এমদাদ উপজেলাবাসী কাছে দায়িত্বশীল পুলিশ অফিসার হিসেবে প্রশংসায় ভাসছেন ।
নোয়াখালীর কৃতিসন্তান এমদাদুল হক এমদাদ রামগঞ্জ মোহাম্মদিয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি দায়িত্বে থাকাবস্থায় রামগঞ্জ দক্ষিনাঞ্চলে তথা করপাড়া ও লামচর ইউপি ও আশ-পাশ এলাকায় অপরাধ দমন করতে সক্ষম হয়েছে। এমদাদুল হক মোহাম্মদিয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে থাকাবস্থায় করোনাকালিন সময় উর্ধতম কর্তৃপক্ষের দেওয়ায় নিদের্শনায় যথাযথ পালনের এবং এলাকার চিহিৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করে চৌকস অফিসার হিসেবে সবার দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়। পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানের কারনে কিছু ছিটকে অপরাধীরা অপরাধ ছেড়ে অন্য পেশা জীবিকা নির্বাহ শুরু করে। গ্রামবাসীরা বলেন ,এমদাদুল হক এমদাদ দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে আইনী বিগত অফিসারের দায়িত্ব পালনের সময়ের ভিন্ন চিত্র পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে।
মোহাম্মদিয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে থেকে লক্ষীপুর সদরে বদলি হয়ে কয়েক মাস থাকার পরে জেলা পুলিশ সুপার এমদাদুল হক এমদাদকে রামগঞ্জ থানার ওসি হিসেবে যোগদান করার সুযোগ করে দেন। ওসি হিসেবে যোগদান করার পর থেকে রামগঞ্জ পৌর শহর ও ১০ইউপির আইনশৃংখলা বাহিনীর সেবা মানুষের দৌড়গড়া পৌছে দিতে কাজ শুরু করে। চৌকস অফিসার হিসেবে এমদাদুল হক লক্ষীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজ্জামান আশরাফের সার্বিক দিক নিদের্শনা রামগঞ্জ থানা পুলিশ অফিসারদের ডেলে সাজানোর পাশাপাশি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও গ্রেফতার বানিজ্য বন্ধ করে দেয়। মাদকে জিরো ট্রলারেন্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। উপজেলাতে দানবট্রলি বন্ধের ব্যাপারে এবং অবৈধ দখলমুক্ত করতে জোরালো ভুমিকা রাখে।
এমনকি যোগাদানের পর থেকেই নেই কোন রাজনৈতিক অহেতুক মামলার ভয়, নেই কোন মিথ্যে মামলার হয়রানী। এক সময় সাধারণ মানুষ বিপদে পরলেও থানার আশেপাশে যাওয়ার সাহস করতো না। ফুটপাতে টাকা না দিতে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারতো না, ভ্যানগাড়ী করে মৌসুমী ফল ও সবজি বিক্রি করতে গেলে যানঝটের অজুহাত দেখিয়ে নানা ভাবে হয়রানী করতো এক ধরনের সুবিধাভোগীরা।
সকল চিত্র পাল্টে দিয়েছেন ওসি এমদাদুল হকের নেতৃত্বে পুলিশ অফিসারগন। এতে প্রশংসায় ভাসছেন অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এমদাদুল হক।
বর্তমান বাংলাদেশ পুলিশের যে অঙ্গীকার তা তিনি উপজেলায় বসবাসরত প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষের দৌরগোড়ায় পুলিশের সেবা পৌঁছে দিতে দিনরাত কাজ করে ব্যাপক প্রসংশায় অর্জন করেছেন।
মানুষের মুখে মুখে ওসি’র এমন প্রশংসার কথা শুনে প্রতিবেদক গোপন অনুসন্ধান চালিয়ে জানতে পারে বর্তমানে থানায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন,জিডি কিংবা মামলা করতে কোন টাকা নিচ্ছে না,কোন অপরাধীর তথ্য যদি কোন পুলিশ সদস্যকে দিয়ে থাকেন তাহলে তথ্য দাতার নাম গোপন রাখা হয়। বিগত দিনে থানার আশ-পাশে সারাক্ষন দালালদের আনাগোনা থাকলেও এখন থানা এলাকায় সম্পূর্ন দালাল মুক্ত রয়েছে। সর্বোপরী উপজেলা এবং পৌরবাসীর দৌড়গড়া পৌছে যাচ্ছে আইনী সেবা।
প্রতিবেদক: শাহে ইমরান,আরিফ হোসেন,রাকিবুল হাসান,