রামগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ রামগঞ্জে চাচাকে অবরুদ্ধ করে খুন ও গুমের হুমকী দেয়ার অভিযোগ উঠেছে চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি কামাল হোসেন ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কামাল হোসেন ভুঁইয়া চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদেও সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ১৮অক্টোবর শুক্রবার উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের দঃ চন্ডিপুর আব্বাস আলী ভুঁইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আবদুল মতিন ভুঁইয়া বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি কামাল হোসেনের সাথে গত কয়েক বছর ধরে তার চাচার জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালে তার চাচা আবদুল মতিনের ঘর দখলে নেয় কামাল হোসেন। এরপর থেকে মতিন ঢাকায় বসবাস করতো। দীর্ঘ ১০ বছর পর বৃহস্প্রতিবার আবদুল মতিন বাড়িতে আসলে কামাল ভুঁইয়ার নেতৃত্বে বাড়ির আলী আহম্মেদের ছেলে শাহজাহান, হাবিবুর রহমানের ছেলে টিটু, ফতেহপুর নোয়া বাড়ির হাবিব উল্লার ছেলে সাবেক মেম্বার ফারুখ হোসেন, এসহাক পাটওয়ারীর ছেলে বিল্লাল হোসেন আবদুল মতিনকে অবরুদ্ধ করে খুন করে লাশ গুম করার হুমকী দেয়। ৪৮ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর ৯৯৯ কল করে আবদুল মতিন। পরে রামগঞ্জ থানার এস আই মোঃ হেলাল খাঁনের নেতৃতে¦ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে আবদুল মতিনকে উদ্ধার করে । পুলিশের এস আই হেলাল খাঁন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্ত চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি কামাল হোসেন ভুঁইয়া বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি একটা ঘর করলে এ ঘরটি ছেড়ে দিবো। আর দিঘির পাড়ের জমি আমার দাদার নামে, দাদার জমি কি আমি রক্ষা করবো না ?
ভুক্তভোগী আবদুল মতিন ভুঁইয়া বলেন, আমার ভাতিজা কামাল চেয়ারম্যান থাকাকালে আমাকে আমার বসতঘর থেকে বের করে দেয়। ঐদ্বারা দিঘির পাড়ে আমাদের ১ একর সম্পত্তি জবরদখল করে নেয়। সে আওয়ামিলীগের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর আমাকে বাড়িতে আসতে দেয়নি। বৃহস্প্রতিবার বাড়িতে আসার সাথে সাথে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে আক্রমন করে আমাকে আবরুদ্ধ করে খুন করে লাশ গুম করার হুমকী দেয়। ৪৮ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর ৯৯৯ কল দেই। তারপর রামগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে। তাই আমি আইনের শরনাপন্ন হয়েছি । আমি আইন অনুযায়ী তাদের শাস্তি দাবী করছি।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি . তদন্ত করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।