ঢাকাশনিবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৩
  1. আন্তর্জাতিক
  2. ইসলাম
  3. খেলাধুলা
  4. গণমাধ্যম
  5. জাতীয়
  6. রাজনীতি
  7. লক্ষ্মীপুর
  8. শিক্ষাঙ্গন
  9. সম্পাদকীয়
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

 লক্ষ্মীপুরে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েও কিশোরকে মাদক মামলায় জড়ালো এস আই মজিবর

ডেস্ক এডিটর
নভেম্বর ২৫, ২০২৩ ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

১৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েও এক কিশোরকে মাদক মামলায় জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে লক্ষ্মীপুরের দাসের হাট ফাঁড়ি থানার  এস আই মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে।

যানা যায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের কুশাখালী পঞ্চায়েত বাড়ির ঐ কিশোর    ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে পাশ্ববর্তী ছিলাদি গ্রামে  ঘুরতে যায়।

 

এসময় তার প্রতিবেশি বাবলুর(৪০) সাথে দেখা হলে তারা দোকানে চা খায়।

বাবলু ও তার সঙ্গী মিরাজের সাথে মাদক কারাবারে জড়িত করিম ও সোহাগের বাক বিতন্ডা দেখা দিলে তারা বাবলু, ও মিরাজকে  আটক করে মারধর করে।

 

পরবর্তীতে ঐ কিশোরকেও তাদের সাথে বেঁধে বেধড়ক পিটায়।  এসময় তাদের কাছে ৬ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

 

চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাদের মাদকসহ পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার ভয় দেখায়।

 

এসময় তারা দাশের হাট ফাঁড়ি থানার পুলিশের এস আই মুজিবুর রহমানকে ফোন দিলে তিনি ঘটনাস্থল পশ্চিম ছিলাদি গিয়ে তাদের আটক করেন।

 

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় চা দোকানি জহির ও তার ছেলে রিপন হোসেন জানান, এসময় মিরাজের কাছে এক পুরিয়া গাঁজা ছিলো বলে তারা দেখতে পায়।

 

পরবর্তীতে তাদের দাশের হাট ফাঁড়ি থানায় এনে ঐ কিশোরের   পরিবারের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন এস আই মজিবুর রহমান। ছাত্রের বাবা জিহাদ মেহেদী হাসান  গাড়ির চালক হওয়ায় তিনি এত টাকা অপারগতা জানান।  এসময় তার চাচার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়েও তাকে ১৫০ গ্রাম গাঁজাসহ কোর্টে চালান করে জেল হসজতে পাঠান এস আই মজিবর।

পরবর্তীতে তাকে জামিনে ছাড়িয় নেন তার বাবা।

 

ঘটনার পর থেকে  লোক লজ্জায় ঐ কিশোর ছাত্র বাড়ি থেকে বের হতে পারছেনা।

 

তাদেরকে আটক করা সোহাগ,  ও স্থানীয় চা দোকানি জহির জানায় এসময় মিরাজ,( পিতা আঃ রহিম সাং শহর কসবা) তার কাছে ছোট এক পুরিয়া গাঁজার মত তারা দেখতে পায়।

 

অন্যদিকে পুলিশ তাদের ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ মাদক কারবারি সাজিয়ে  একইদিন আদালতে মামলা দায়ের করে যাহার নং ১৫/১৪-১১-২০২২ইং।

 

এ ঘটনায় ঐ ছাত্রের পিতা জিহাদ মেহেদী হাসান বলেন, আমার নাবালক ছেলেকে মাদক কারবারি সাজিয়ে পুলিশ মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। এতে সে মানসিক ও সামাজিক ভাবে হেনস্তার শিকার।

এ ঘটনায় বিচার চেয়ে আমি লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।

 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস আই মজিবুর রহমান বলেন, গাঁজাসহ তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছিল।

তাদের কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে যার ভিডিও ফুটেজ আছে।

 

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ( পিপিএম) সাথে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।