স্টাফ রিপোর্টারঃ নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার ইসলাম উদ্দিনের পুত্র দৌলতপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক হাবিবুর রহমান খান (বাবলু) এর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের উৎস সন্ধানে তৎপর স্থানীয় বাসী, সেই সাথে প্রাইমারী স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষক হয়েও হাবিবুর রহমান খান (বাবলু) মেসার্স সাইফ এন্টারপ্রাইজ নামের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পূবালী ব্যাংক মোহনগঞ্জ শাখার ৪৫৪২৯০১০১১০৫৮ চলতি হিসাব নং খুলে কোটি টাকার ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে স্থানীয় জনমনে। অভিযোগে আরও জানা গেছে, সহকারী প্রাইমারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান খান (বাবলু) স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ ফরহাদ হোসেনের স্বাক্ষর জাল করে পূবালী ব্যাংক লিঃ মোহনগঞ্জ শাখায় মেসার্স এবি এন্টারপ্রাইজের নাম উল্লেখ করে চেক জমা দিয়ে টাকা উঠানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু চেকের স্বাক্ষর জাল ধরা পড়ে এবং সেই স্বাক্ষর জাল বলেও সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হয়। আরও জানা গেছে মোঃ ফরহাদ হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসা করার সময় ফরহাদ হোসেন ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৯৮ হাজার ২শ ৫০ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। এসময় ফরহাদ হোসেন ৪টি ব্ল্যাঙ্ক চেক হাবিবুর রহমান খান (বাবলু) কে দিয়ে ছিলো। জানা গেছে হাবিবুর রহমান ২টি ব্ল্যাঙ্ক চেক ফরহাদ হোসেনকে ফেরত দেয়। হাবিবুর রহমানের বিভিন্ন অজুহাতের কারণে চেক না দেওয়ায় ফরহাদ হোসেন পরবর্তীতে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করে। এরপরও ফরহাদ হোসেন চেক না পাওয়ায় হাবিবুর রহমান খান (বাবলু) এর বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ সদর নির্বাহী কোর্টে মোকদ্দমা দায়ের করেন। যার নং- ১০৬৮/২০২৩, জানা গেছে মামলাটি এখনও চলমান আছে। এদিকে ফরহাদ হোসেনের সাথে পেরে না উঠতে পারায় হাবিবুর রহমান খান বাবলু এখন ফরহাদকে হুমকি দিচ্ছে তার কাছে ফরহাদের যে দুটো চেক রয়েছে সেই ব্ল্যাঙ্ক চেক দুটোতে মোটা অংকের টাকা বসিয়ে এবং সেটা ডিজ অনার করিয়ে ফরহাদের বিরুদ্ধ মিথ্যা মামলা দায়ের করবে। জানা গেছে, ফেরৎ না দেওয়া দুটো চেকের নম্বর যথাক্রমে ৩০২৭৪২৪ যেখানে আছে ১ কোটি ২৯ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা এবং 3027425 যেখানে আছে ২ কোটি ২০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা। ব্যাংক মারফত জানা গেছে মোট ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা লিখে ডিজ অনারের জন্য ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে হাবিবুর রহমান বাবলুর বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান খানে বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মোঃ ফরহাদ হোসেন নেত্রকোণা দুর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সেই সাথে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে নেত্রকোণা সদর জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে নেত্রকোণাবাসী উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, নেত্রকোণা, মোহনগঞ্জের দৌলতপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক হাবিবুর রহমান খানের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করে শিক্ষক সমাজ যাতে ব্যাংক জালিয়াতি এবং ব্যবসায়ী হতে না পাড়েন সে জন্যে নেত্রকোণা জেলা শিক্ষা অফিসারকে সতর্ক থাকতে হবে। আগামী সংখ্যায় শিক্ষক হাবিবুর রহমান খানের দুর্নীতির ফিরিস্তি।